২০২০ সালে বিশ্বে ১০ লক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের পদ খালি থাকবে!
২০২০ সালে বিশ্বে ১০ লক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের পদ খালি থাকবে!
সেই সব পদে কাজ করার মত যোগ্য কর্মী পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফেসবুক। গতকাল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রোগ্রামার তৈরির ব্যাপারে সচেতনতা, সহায়তা এবং তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি নতুন উদ্যোগ চালু করেছে। টেকপ্রেপ নামের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল বিশ্বে কম্পিউটার প্রোগ্রামারের আশু ঘাটতি মোকাবেলা করা। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে চালু হয়েছে প্রোগ্রামিং-এর রসদ আর তথ্য ভান্ডার নিয়ে পোর্টাল । https://techprep.org/
পোর্টালে বলা হয়েছে গাড়ি, মোবাইলফোন কিংবা টেলিঅিশনসহ আমাদের চারপাশেই এখন কম্পিউটারের ছড়াছড়ি। তবে, একটি গোপন রহস্য আছে। প্রত্যেক কম্পিউটারের দরকার প্রোগ্রাম যা কীনা তাদেরকে বলে কী করতে হবে। আর প্রোগ্রামাররা হল যারা নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে এবং পরে প্রোগ্রামিং সংকেত লিখে সেটিকে জীবন্ত করে। টেকপ্রেপের উদ্দেশ্য হল প্রোগ্রামিং কী তা সবাইকে বুঝতে সাহায্য করা, প্রোগ্রামারদের কত বৈচিত্রময় কাজ রয়েছে সেটা জানানো এবং সেসব কাজর জন্য একদিন দক্ষতা কেমন করে পাওয়া যাবে সেটাতে সহায়তা করা।
এই উদ্যোগের সূচনা হয়েছে ম্যাক-কিনসের করা একটি গবেষণা থেকে যেখানে দেখা গেছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ৭৭% অভিভাবকই জানেন না কেমন করে তাদের সন্তানকে সিএস ডিগ্রী নিতে সহায়তা করবেন।
বিখ্যাত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাক-কিনসের সঙ্গে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে চারু হওয়া এই উদ্যোগে থাকবে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হয়ে ওঠার নানান রিসোর্স যেমন টিউটোরিয়াল, ভিডিও এবং গেমসে যা অভিভাবকদের বোধের বিকাম ঘটাবে। ফলে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের কম্পিউটারে স্নাতক হতে সাহায্য করতে পারবে। যদিও সবার জন্য এই সাইট বানানো হয়েছে তবে ফেসবুকের প্রথম লক্ষ্য স্পেনিম ভাষাভাষীদের মধ্যে প্রোগ্রামিংকে ছড়িযে দেওয়া। হিস্পানিকদের জন্য করলেও বেশিরভাগ তথ্য এবং রিসোর্স যে কেও ব্যাবহার করতে পারবে। কাজে আমাদের আগ্রহীদের এটা ব্যবহারে কোন সমস্যা নাই।
কয়েকদিন আগে বিডিওএসেনের জন্মদিনে এই বিষয়টাই নিয়ে আলাপ করেছিলেন, মুনিরহাসান স্যার। আগামী কয়েক বছরে কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই কয়েক লক্ষ দক্ষ প্রোগ্রামারের প্রয়োজন হবে। এরা যে কেবল সিএসএস আর এইচটিএমএল পারবে তা নয়। এরা প্রোগ্রাম অপটিমাইজ করতে পারবে এবং সেটাতে নতুন উচ্চতায় নিতে পারবে।
মুনির হাসান স্যার, আরো বলেন, আমার ইদানীং কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে আমরা হয়তো কেবল ছুটকা কাজের ফ্রিল্যান্সিং-এর পেছনে ছুটছি, বড় ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি না, সেটা দেখানো মনে হয় দরকার, একটা বড় সড় উদ্যোগ যদি কেও নিত!!!
প্রোগ্রামিং এর কোন বিকল্প নাই, “আই ও টি” অথবা “এই আই” বলেন, সব কিন্তু এই প্রোগ্রামিং এর উপর ভিত্তি করেই। ফিউচার হচ্ছে প্রোগ্রামিং, ফিউচার হচ্ছে ডিজিটালের।
“আই ও টি” অথবা “এই আই” কিন্তু ম্যাক্সিমাম দখল করে নিবে, অলরেডি বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর সহ অনেক কিছু দখল করতে শুরু করেছে তাই আপডেটেড থাকতে হলে প্রোগ্রামিং এর বিকল্প নাই।
গত ১০ বছরের বড় বড় স্টার্টআপ গুলোর ( AIRBNB, DROPBOX, KICKSTARTER, PINTEREST, SNAP, SQUARE, SPOTIFY, STRIPE, UBER, UDACITY, দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই , মাক্সিমাম সফল স্টার্টআপ হচ্ছে প্রোগ্রামিং তথা কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে।
আর এই প্রোগ্রামিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়বে, কমবেনা! তাই চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে, যোগ্য প্রোগ্রামার তৈরি করতে বাইটকোড নিয়ে এসেছে “প্রাক্টিকাল প্রোগ্রামিং কোর্স”
বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুনঃ
www.mahbubosmane.com/programming-course/
www.bytecode.com.bd/basic-programming-course/