Register a company under your name in Saudi Arabia – সৌদিতে নিজের নামে কোম্পানি খোলার বিস্তারিত।
Register a company under your name in Saudi Arabia – সৌদিতে নিজের নামে কোম্পানি খোলার বিস্তারিত।
ইনভেস্টর লাইসেন্স কি?
সৌদির সরকার ২০২১ সাল থেকে সৌদি প্রবাসী এবং বিদেশিদের সৌদিতে নিজের নামে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে।
গত ২০২৩ সালের শেষ ৪ মাসে সৌদিতে ৪৭ হাজার নতুন কোম্পানি খোলা হয়েছে, যা মোটামুটি রেকর্ড বলতে পারেন।
কেন সৌদি সরকার শত বছরে নিয়ম পরিবর্তন করে বিদেশিদের নিজের নামে ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে? এর পিছনের মূল কারন কি?
মূলত সৌদি বানিজ্য মন্ত্রনালয় কভার আপ বিজনেস তথা আরবিতে বলে তাচ্ছাতুর তেজারি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই সুযোগ দিয়েছে।
আর চলমান এই সুযোগটা নিয়ে লাখ লাখ প্রবাসী এবং বিদেশি সৌদিতে নিজের নামে কোম্পানি খুলে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছে।
সৌদিতে ইনভেস্টর কোম্পানি খোলার আগে তাচ্ছাতুর সুম্পর্কে জানতে হবে।
তাচ্ছাতুর তেজারি মানে কি?
তাচছাতুর মানে হলো সৌদিকে সামনে রেখে ব্যবসা করা মনে করেন বর্তমানে আপনি একজন সৌদির নামে ব্যবসা করছেন ব্যবসা আপনার কিন্তু নাম সৌদির, এটার আসল মালিক আপনি কিন্তু না।
এক্ষেত্রে আপনি যতই আপনার ব্যবসা দাবি করেন না কেন এটা কিন্তু আপনার ব্যবসা না কারণ ব্যবসা সৌদির নামে নিবন্ধিত।
যারা সৌদির নামে নিজের ব্যবসা করে তাদের ক্ষেত্রে বলা হয় তাচ্ছার তেজারি।
সৌদি আরবে তাচ্ছাতুর তেজারি আইনত অপরাধ। এই অপরাধে বড় অংকের জরিমানা ও প্রবাসী হলে আটক করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে।
মক্তব আল আমেল ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অভিযানিক টিম বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার রেকর্ড অনেক আছে।
কখন মনে করবেন আপনার সৌদিতে ইনভেস্টর হয়ে নিজের নামে কোম্পানি খোলা উচিত।
বর্তমানে যদি আপনার ২ লাখ রিয়ালের উপর ইনকাম হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনার উচিত ইনভেস্টর হওয়া।
ইনভেস্টর হলে আপনার স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করার সুযোগ থাকবে এবং আইনি ঝামেলা
থাকবে না।
২০২৩ সালের শেষ ৪ মাসে ৪৭ হাজার বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। এইবার ভাবুন, আপনি কেন ইনভেস্টর হবেন। ইনভেস্টর না হলে আপনার কি কি ক্ষতি হবে?
১- আপনার ব্যবসা হারানোর ভয় থাকবে, যেহেতু বর্তমানে সৌদির নামে ব্যবসা পরিচালনা করা অত্যন্ত ভয়ের, যেকোন সময় কফিল ব্যবসা তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারবে। অতীতেও হাজার হাজার প্রবাসী কফিল দ্বারা প্রতারিত হয়েছে।
২- মক্তব আল আমেল অভিযানে আটক হলে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩- বানিজ্য মন্ত্রণালয় অভিযানে পড়লে বড় জরিমানা ও দোকান বন্ধ করার ভয় থাকে।
৪- ব্যাংকিং লেনদেনে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়।
ইনভেস্টর হলে লাভ কি?
১- আপনার কোন কফিল থাকবে না, আপনি নিজের কফিল থাকবেন, সম্পূর্ণ কফিল প্রথা থেকে বেরিয়ে আসবেন, হুরুব খুরুজ আর হুমকিধামকি থেকে মুক্তি পাবেন।
২- নিজের নামে প্রতিষ্ঠান যেমন দোকান, অফিস, ইন্ডাস্ট্রি যা খুশি খুলতে পারবেন, সব আপনার নামে হবে।
৩- নিজ কোম্পানির নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে যতখুশি লেনদেন করতে পারবেন, কোন জবাবদিহি থাকবে না। সেবাকার টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে।
৪- একটা লাইসেন্স দিয়ে ১৩০০-এর বেশি ব্যবসা করতে পারবেন।
৫- সৌদির যেকোন শহরে একই লাইসেন্সে ব্যবসা খুলতে পারবেন, শুধু বলিদিয়া লাইসেন্স আলাদা করে করতে হবে।
৬- সৌদি বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত ব্যবসায়ী হিসেবে অবাধে সৌদি বিজিনেস সেন্টারে যাতায়াত করতে পারবেন।
৭- ইকামাতে জেনারেল ম্যানেজার পদবি আসার পর দুবাই ছাড়া আরবের বাকি দেশগুলোতে ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারবেন।
৮- ইউরোপের দেশগুলো সহজে ভিসা পাওয়া যাবে।
৯- নিজে নিজের নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার কারণে আপনার পেশা থাকবে জেনারেল ম্যানেজার।
১০- আপনার প্রতিষ্ঠানে আপনি নিজে বসতে পারবেন, মক্তব আল আমেলের কোন ভয় থাকবে না।
১১- যেকোন আইনি সমস্যা হলে আপনি নিজেই তা সমাধান করতে পারবেন।
এইবার আসুন জেনে নেই লাইসেন্স খরচ কত?
ইনভেস্টর লাইসেন্স করতে প্রাথমিক খরচ কিছুটা কম হলেও বছর শেষে লাইসেন্স রি-নিউ করার জন্য ৬২ হাজার রিয়াল লাগে এবং মূল লাভ থেকে ২০ ভাগ সরকারকে দিতে হবে।
২০ ভাগ কিভাবে পেমেন্ট করতে হবে?
২০ ভাগ লাভের হিসাব মূলত সকল খরচ বাদ দিয়ে হিসাব করা হয় যেমন আপনার বেতন, স্টাফ বেতন, প্রতিষ্ঠান ভাড়া, রুম ভাড়া সহ সকল খরচ বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়।
অনেকের প্রশ্ন ব্যাংকের লেনদেন হিসাব করে কি ট্যাক্স, ভ্যাট ও নিট লাভ হিসাব করা হয় কি?
উত্তরঃ- না, আনুমানিক হিসাব করে অডিট করে ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয়।
প্রবাসীদের কোম্পানিতে কি যাকাত আসে?
উত্তর- না।
ইনভেস্টর লাইসেন্স কত ধরনের?
ইনভেস্টর লাইসেন্স ৩ ধরনের-
১- ইন্ডাস্ট্রিয়াল ২- ট্রেডিং তথা তেজারা ৩- সার্ভিস তথা খেদমা।
প্রত্যেকটা ধরনের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার নিয়ম।
প্রথমে আলোচনা করি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কি
পণ্য তৈরি করে এমন প্রতিষ্ঠান করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স নিতে হয়।
ট্রেডিং লাইসেন্স?
ট্রেডিং লাইসেন্স মূলত পণ্য বিক্রি করা হয় এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য- যেমন কাপড়ের দোকান, মুদি দোকান, মোবাইলের দোকান সহ মোট ৪০০ বেশি প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করা যায়।
সার্ভিস লাইসেন্স?
পণ্য বিক্রি হয়না বা পণ্য তৈরি করা হয় না এমন প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সার্ভিস লাইসেন্স নিতে হয়।
যেমন- ট্রাভেল এজেন্সি, খাবারের হোটেল, কফিশপ, পেট্রল পাম্প সহ মোট ১৪০০ ধরনের ব্যবসা করা যায়।
যদি সহজ করে গায়ে যে শার্ট আছে সেটা দিয়ে উদাহরণ দেই-
শার্টের কাপড় যে গার্মেন্টস তৈরি করে সেটা ইন্ডাস্ট্রি, আপনি যদি শার্টের কাপড় তৈরি করতে চান তবে আপনাকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স নিতে হবে।শার্টের কাপড় যে দোকানে বিক্রি করে সেটা ট্রেডিং, আপনি যদি শার্টের কাপড় বিক্রি করতে চান তবে ট্রেডিং লাইসেন্স নিতে হবে। শার্ট যেখানে সেলাই করে টেইলার্স সেটা সার্ভিস কারণ টেইলার্স শুধু আপনার এনে দেওয়া কাপড় দিয়ে সেলাই করে তার ফি নিবে।
কতজন পার্টনার নেওয়া যাবে? ১ জন থেকে ১৬ জন মিলে ১ টা ইনভেস্টর লাইসেন্স নিতে পারবেন, বছর শেষে সবার ৬২ হাজার রিয়ালই লাগবে। পার্টনার থাকলে অতিরিক্ত ফি লাগে না, শুধু ইকামার টাকা ও কাফালা খরচ দিতে হয়। এক্ষেত্রে মূল পার্টনার একজন থাকবে বাকিরা কো পার্টনার হিসেবে কোম্পানিতে থাকবে।
কত ভাগ পার্টনারশিপ দেওয়া যাবে? ৫ ভাগ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত শেয়ার ভাগ করে দেওয়া যাবে।
কতটা ভিসা তোলা যাবে? বর্তমানে যারা ইনভেস্টর লাইসেন্স করছে তারা মূলত আপনাদের ভুল তথ্য দিচ্ছে, তারা বলে থাকে আনলিমিটেড ভিসা তোলা যায় এটা সঠিক নয়। ভিসা মূলত প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে যেমন আপনার একটা কপিশপ আছে সেখানে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ টা ভিসা তোলা যাবে। আপনার দোকান ও প্রতিষ্ঠান বেশি হলে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ি ভিসা তুলতে পারবেন। শুধু ভিসা তুলে বিক্রি করলে বিপদেও পড়বেন। ভিসা তোলার জন্য কোম্পানিতে সৌদি নিয়োগ দিতে হয়, সৌদি নিয়োগ দিলে তার তামিনাত পে করতে হয়।
ইকামার টাকা কত আসবে? মূলত আপনি কোম্পানি খুলছেন, মোহাসাসা নয়, সৌদিতে কোম্পানির ইকামা খরচ হয়ে থাকে প্রতিজন ৯৬০০ রিয়াল।
১০০ রিয়াল মক্তব আল আমেল আসবে কি?
বিভিন্ন অফিস এখানেও আপনাদের বোকা বানিয়ে কোম্পানি বানিয়ে টাকা কামাচ্ছে, বেশিরভাগ অফিস একটা সার্ভিস লাইসেন্স খুলতে ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত দাবি করে যা সীমার অতিরিক্ত। যেহেতু আপনি শরিকা তথা কোম্পানি খুলেছেন নিয়ম অনুযায়ি আপনার কোম্পানিতে ১০০ রিয়াল মক্তব আল আমেল আসবে না তবে ওয়াস্তা দিয়ে চুক্তির মাধ্যমে অবৈধ প্রন্থায় ১০০ রিয়াল করা যায় তবে এটা শতভাগ নিশ্চিত না, আসতে পারে নাও পারে।
কোন কোন পেশার লোক কোম্পানি খুলতে পারবে, ইকামার মেয়াদ না থাকলে খোলা যাবে কি?
যেকোন পেশার লোক কোম্পানি খুলতে পারবে, ইকামার মেয়াদ না থাকলেও খোলা যাবে।
কফিলের অনুমতি বা কফিল জানতে পারবে কি?
কফিলের অনুমতি লাগে না, এমনকি কফিল কোম্পানি খোলার সময় জানতেও পারবে না।
সৌদির বাহির থেকে কি সৌদিতে কোম্পানি খোলা যাবে কি?
উত্তরঃ- হ্যা পারবে, এক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি লাগে, কোম্পানি খোলার পর চাইলে বিজনেস ভিসায় এসে কোম্পানি পরিচালনা করতে পারবেন।
অথবা চাইলে নিজের কোম্পানি থেকে ভিসা বের করে প্রসেস করে সৌদিতে এসেও কোম্পানি নিয়ন্ত্রন করা যাবে।
কোম্পানি খুলতে মোট কতদিন সময় লাগে?
সার্ভিস কোম্পানি-
সার্ভিস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি খুলতে সর্বমোট ২০ থেকে ২৫ কর্মদিবস লাগে।
ট্রেডিং কোম্পানি সৌদি পার্টনার নিয়ে খুললে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে, সৌদি পার্টনার না নিলে ৪৫ কর্মদিবস সময় লাগে।
সৌদি পার্টনার নিলে লাভ লস কি?
ট্রেডিং কোম্পানিতে সৌদি পার্টনার নিলে প্রথম বছরের জন্য কিছুটা খরচ কম হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে সৌদির পার্টনারশিপের মূলধনের যাকাত চলে আসবে যা বছরে ১ লক্ষ ৫০ হাজার রিয়ালের মত সাথে লাইসেন্স রিনিউর ফি ৬২ হাজার রিয়াল এছাড়া যুক্ত হবে নিট লাভের ২০ ভাগ।
সাধারনত একটা ট্রেডিং কোঃ খুলতে ২৭ মিলিয়ন সৌদি রিয়ালের কোম্পানি দেখাতে হয়, এক্ষেত্রে সৌদিকে পার্টনার নিলে ঝামেলায় পড়তে হতে পারেন।
সার্ভিস লাইসেন্সের জন্য সৌদি পার্টনার নিলে কি রেট কম হবে?
সাধারনত সার্ভিস লাইসেন্স মূলত ১ লক্ষ রিয়াল মূলধন দেখিয়ে খোলা হয়, এক্ষেত্রে পার্টনার থাকলে যাকাত বড় অংকের না আসলেও পার্টনার না নেওয়াই ভালো।
ফ্যামিলি আনা যাবে কি? ফ্যামিলির ইকামা হবে কি?
উত্তরঃ- হ্যা আনা যাবে এবং ইকামা করা যাবে। ফ্যামিলির ইকামা খরচ প্রথম বছর ২৪০০ রিয়াল, পরের বছর থেকে ৪৮০০ রিয়াল করে প্রতিজন।
কোম্পানি খোলার পুরা প্রসেস।
সৌদিতে সার্ভিস লাইসেন্সের কোম্পানি খোলার জন্য বাংলাদেশ অথবা বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে কোম্পানি এনে কোঃ খুলতে হয়।
সার্ভিস লাইসেন্সের জন্য শুধু একটা কোম্পানি দেখিয়ে এল এল সি কোম্পানি খোলা যায়, যা মূল সৌদি কোম্পানি হয়ে থাকে।
কিছু মানুষ মানুষের সাথে কিভাবে প্রতারনা করে-
সার্ভিস লাইসেন্স কিন্তু শাখা হিসবেও খোলা যায় যেমন বাংলাদেশের যেকোন একটা কোম্পানির শুধু একটা শাখা এই দেশে নিবন্ধন করে দেয়। এক্ষেত্রে ঝামেলা বাধে শাখা খুললে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির বাহিরে ব্যবসা করা যায় না। আর এল এল সি সৌদি কোঃ হলে ১৪০০র বেশি ব্যবসা করা সুযোগ থাকে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্সের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম একটা কোম্পানি দেখিয়ে এল এল সি কোম্পানি খোলা যায়।
ট্রেডিং লাইসেন্স শতভাগ নিজের নামে-
শতভাগ নিজের নামে ট্রেডিং লাইসেন্স খুলতে সময় ও খরচ উভয় বেশি লাগে, ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য মোট ৩ দেশ থেকে ৩ টা কোম্পানি দেখালে সৌদিতে এল এল সি ট্রেড কোঃ খোলার অনুমতি পাওয়া যায়।
শতভাগ নিজের নামে ট্রেডিং কোম্পানি খুলে ৪০০র বেশি ব্যবসায় নিজেকে জড়ানো যায়। সৌদি পার্টনার নিয়ে ট্রেডিং লাইসেন্স করতে সময় বেশি লাগে না যেহুতু সৌদি পার্টনার থাকে।
যা যা লাগে কোম্পানি খুলতে-
সৌদি প্রবাসী হলে-
- ১- ইকামার ছবি।
২- মালুমাত করা পাসপোর্টের ছবি।
৩- এক কপি কালার ছবি।
৪- মোবাইল নাম্বার আবশিরের।
৫- সাদা কাগজে একটা সাক্ষর।
৬- ইমেইল এড্রেস।
নমিনির যা যা লাগবে? নমিনির বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে-
- ১- NID কার্ডের ছবি।
২- মোবাইল নাম্বার।
৩- পাসপোর্ট থাকলে তার ছবি, না থাকলে সমস্যা নেই।
৪- মোবাইল নাম্বার যেটায় একটা কোড যাবে।
৫- ইমেইল এড্রেস।
৭- ১ কপি কালার ছবি।
কোম্পানি খোলার পর কাজ-
বাহিরের দেশের কোম্পানি রেডি হওয়ার পর, সৌদি কোম্পানির জন্য আবেদন করতে হয়, আবেদন করার ৫, ৭ দিনের মধ্যে মিসা লাইসেন্স চলে আসে সেটা মূল লাইসেন্স। মিসা লাইসেন্স আসার পর সরাসরি এব বি সি তে গিয়ে কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। যেদিন যাবেন সেদিনই CR ইস্যু করে দেওয়া হয়, CR ফি ১৭৭৫ রিয়াল সাদ্দাদ তথা পেমেন্ট করলে সি আর চলে আসে। এরপরের কাজ কোম্পানির কিউয়া ও মুকিম খুলতে হয় যা ১২৬৫ রিয়াল ৬০০ রিয়াল লাগে। মুকিম ও কিউয়ার কাজ শেষ হলে কোম্পানি রেডি। এরপর কোম্পানির মালিক তার কোম্পানিতে কাফালা হয়ে পেশা পরিবর্তন করে জেনারেল ম্যানেজার করে নিতে হবে। তারপর ধীরে সৌদির নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের কোম্পানিতে ট্রানফার করে নিতে পারবেন এবং চাইলে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান নিজের নামে এগ্রিমেন্ট করতে পারবেন।
বর্তমানে কমন যে সকল প্রশ্নগুলো করে থাকে?
নিজের কোম্পানিতে নিজে কাফালা হতে কি টাকা লাগে?
উত্তরঃ– অবশ্যই টাকা লাগে, কাফালা ফি, ইকামা ফি, মক্তব আল আমেল ফি সব পেমেন্ট করতে হয়। অবশ্যই প্রত্যেক বছর ইকামাও করতে হবে যেমনটা এখন আপনি কফিলের আন্ডারে থেকে করছেন।
কাফালা হতে কি কফিলের অনুমতি ও তলব লাগবে কি?
উত্তরঃ– হ্যা। কাফালা হতে কফিলের অনুমতি লাগবে যদি ইকামার মেয়াদ থাকে এবং কিউয়া থেকে তলবও ওকে করতে হবে। ইকামার মেয়াদ না থাকলে অনুমতি লাগবে না।
কফিলকে না জানিয়ে পুরাতন দোকানপাট নাজ্ঞাল তথা ট্রান্সফার করা যাবে কি?
উত্তরঃ– আকদ ইজার তথা ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ থাকলে অবশ্যই কফিলের অনুমতি নিয়ে প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফার করতে হবে।
দেশে থাকলে কি কাউকে পার্টনার করা যাবে কি?
উত্তরঃ-হ্যা পারবেন।
চাইলে লাইসেন্স বাতিল করা যাবে?
হ্যা পারবেন, এক্ষেত্রে জরিমানা লাগবে না।
এখনো আপনার মনে কোন প্রশ্ন আছে? অথবা আমাদের থেকে কল পেতে চান?
তাহলে নিচের ফরমটি পুরন করুন, আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবো, ইংশাআল্লাহ! আপনি আমাদেরকে wa.me/+966549485900 অথবা wa.me/+8801716988953 এই নাম্বার দুইটিতে কল করতে পারেন, ইমেলও করতে পারেন hi@mahbubosmane.com এই ইমেলে, আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারলে অবশ্যই খুশি হব, ধন্যবাদ ।
মাহবুবওসমানী.কম এর সার্ভিস সমূহঃ