হয় আপনি কাজ করার একটি উপায় পাবেন অথবা একটি অজুহাত পাবেন
আমি জার্মানিতে যে কোম্পানিতে কাজ করি, প্রচুর তরুণ জার্মান সহকর্মী। আমি মাঝে মাঝে তাদের শুক্রবারে জিজ্ঞেস করি, ছুটির দিনে কী করবে?
একই উত্তর সবার কাছ থেকে, ‘ডিস্কোতে যাব, প্রচুর ড্রিংক করব। সারা সপ্তাহে যে চাপ ছিল, সেটা ভুলে যাব। এরপর আবার সোমবার আসবে। আবার পাঁচ দিন কাজ করব, আবার ছুটির দিন। কোনো উচ্চাকাঙ্খা নেই,কোনো লক্ষ্য নেই জীবনে। অ্যাপার্টমেন্ট আছে, গাড়ি আছে, বেতন আছে।
বছরে একবার ইতালি বা স্পেনে বেড়াতে যাই। আর কী দরকার?’ যদি জিজ্ঞেস করেন, কেন জীবনে বড়লোক হতে পারলে না? উত্তর আসবে :
১. যদি আমার বউ বা সংসার না থাকত
২. ক্যাপিটাল থাকত
৩. ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি থাকত
৪. স্বাস্থ্য আরও ভালো হতো
৫. আরও সময় থাকত
৬. পাবলিক আমাকে ভালো বুঝত
৭. অন্যদের সমালোচনাকে ভয় না পেতাম
৮. জীবনে সুযোগ আসত
৯. অন্যরা আমাকে থামিয়ে না দিত
১০. আমার বয়স আরও কম হতো
১১. আমি বড়লোক হয়ে জন্মাতাম
১২. আমি নির্ভরযোগ্য বন্ধু পেতাম
১৩. অন্য মানুষ আমাকে বিরক্ত না করত
১৪. আমাকে সব সময় বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে না হতো
১৫. আমি কিছু সঞ্চয় করতে পারতাম
১৬. আমার বস আমাকে কিছুটা প্রশংসা করতেন
১৭. আমার সহকর্মীরা আমাকে ঠিক বুঝত
১৮. আমি জীবনে ব্যর্থ না হতাম
১৯. আমি আমার মনের মতো মানুষকে বিয়ে করতাম
২০. আমার স্বামী বা স্ত্রী টাকা-পয়সা এত খরচ না করত
২১. আমার জাতক রাশি অন্যটা হতো
২২. আমার প্রতিবেশীরা ভালো হতো
২৩. আমার অতীতটি আরও ভালো হতো
২৪. আমার নিজের ব্যবসা থাকত
২৫. আমার আত্মবিশ্বাস থাকত
২৬. আমার ঋণ না থাকত
২৭. কাউকে পেতাম, যে আমাকে সাহায্য করত
২৮. ভাগ্য আমার প্রতি বিরূপ না হতো
২৯. আমি জানতাম কিভাবে বড়লোক হতে হয়
৩০. আমার কপালে লেখা না থাকত যে আমি গরিব হয়ে জন্মাবো ।
পাঠক, আপনি যদি এই ৩০টি অজুহাতের মধ্যে আপনার কোনো অজুহাত খুঁজে না পান, আমি আপনাকে না দেখেই বলব, আপনি জীবনে সাফল্য লাভ করেছেন।
সত্যি বলতে কী, এসব অজুহাত কোনো অজুহাত নয়।
জীবনটা অনেকটা দাবা খেলার মতো। আপনার বিরুদ্ধে খেলছে আপনার সময়। আপনি যদি সময়মতো ডিসিশন নিতে না পারেন, আপনি হেরে যাবেন। অদম্য ইচ্ছা আর সিদ্ধান্ত এ দু’টি জিনিস আপনাকে এনে দেবে সাফল্য।
আপনার তিনটি পদক্ষেপ :
১. আপনি কী চান?
২. কী মূল্য আপনি এর জন্য দেবেন?
৩. আপনি শুরু করুন মূল্য দেয়ার জন্য।
So take action.