১. তুলনা (হিংসা) অন্য কারো সাথে তুলনা করে তার সাকসেসের মধ্যে ছিদ্র খোঁজার মানে হচ্ছে– তোমার যে হেডম নাই সেই মন খারাপকে সাময়িক সান্ত্বনা দেয়া। ও দুই নাম্বারি করেছে, সে ছেঁচড়া, তেলবাজ, খেত-আনসোসাল বলার মানে হচ্ছে— আমি নিজেকে এক নম্বর মনে করেও তার সাথে পারোনি তাই আফসোস করছি। সো, আজকের পর থেকে– অন্যের সাথে তুলনা করতে হলে, তার এফোর্ট এর সাথে তোমার এফোর্টের তুলনা করো। তার স্ট্রাটেজির সাথে তোমার স্ট্রাটেজির তুলনা করো। এরপর কম্পেয়ার না করে, কমপিট করো।
২. পটেনশিয়াল (আমি ডিজার্ভ করি) দুনিয়ার সবচেয়ে লুজার মার্কা কথা হচ্ছে– আমি এর চাইতে ভালো কিছু ডিজার্ভ করি। শুনো, সত্যি কথা হচ্ছে, তুমি যেটা পাইছো সেটাই তুমি ডিজার্ভ করো। এখন সেটা তোমার ভালো লাগুক বা না লাগুক– সেটা দিয়ে দুনিয়ার কারো তেমন কিচ্ছু যায় আসে না। তোমার পটেনশিয়াল আছে বা তুমি কি ডিজার্ভ করো সেটা নিয়ে দুই মিনিটের বেশি চিন্তা করতে যেও না। তোমার কোন কিছু না হলে, কোন কিছুর পিছনে চেষ্টা করে না পেলে– পরেরবার ট্রাই করে দেখো। ডিজার্ভ করি বলে, আজীবনের জন্য লুজার পজিশন রিজার্ভ করে বসে থেকো না। .
৩. কেউ আমাকে দেখতে পারে না (লোনলি) তোমার ফ্রেন্ড সংখ্যা কমে যাওয়ার দুইটা মানে হতে পারে। এক, হতে পারে তুমি তোমার টার্গেটে, তোমার নিজেকে ডেভেলপ করতে এতো ব্যস্ত, এতো ব্যস্ত যে– আশেপাশের কারো পিছনে ফাও সময় দেয়ার মতো সময় তোমার হাতে নাই। আর তোমার ফ্রেন্ড সংখ্যা কমে যাওয়ার আরেকটা মানে হচ্ছে– তুমি কারো সাথেই মিশতে চাও না। বা যাদের সাথে মিশতে গেছো তারা তোমার টাইপের মানুষ না। সো, চারজন নেগেটিভ ফ্রেন্ড থাকার চাইতে, ফ্রেন্ডহীন ভাবে বাসায় বসে ইউটিউব এ স্কিল ডেভেলপ এর ভিডিও দেখা অনেক ভালো।
৪. ঘৃণা (হেটার্স) হেটার্স নিয়ে আমার সিম্পল রুল– তুমি বেঁচে থাকলে তোমার হেটার্স থাকবে। যেমন ধরো, তুমি যদি এই মুহূর্তে ইউটিউবে যাও। তাহলে এমন কোন ভালো বা চমৎকার ভিডিও খুঁজে পাবে না। যেটার মধ্যে ১০০০ এরও বেশি লাইক আছে আর একটাও ডিজলাইক নাই। সো, হেটার্স আর ডিজলাইক লাইফেরই একটা অংশ। তোমাকে যেটা করতে হবে–সেটা হচ্ছে তুমি দেখো, তোমার হেটার্স যদি ১০% এর কম হয় তাহলে ওদের ইগনোর করো। যদি ২৫% এর মতো হয় তাহলে তুমি যা করতেছো আরেকটু ভেবে দেখো। আর যদি হেটার্স ৫০% বা তার বেশি হয়, তাহলে তুমি কিছু একটা ভুল করতেছো। ট্রাই টু চেইঞ্জ সামথিং। .
৫. ইগো (আমিই সেরা) ইগো, আত্মঅহংকার, সুপিয়রিটি কমপ্লেক্স তোমার চারপাশে দেয়াল তৈরি করে দেয়। তোমার ইগো যত বেশি হবে, অন্যদের কাছে থেকে শিখা ততো কঠিন হবে। অন্য কারো থেকে তত বেশি পিছিয়ে পড়বে। তুমি এক সময় কই পড়ছিলা, কি খাইছিলা, কি রেজাল্ট করছিলা, তোমার বাপ কি ছিলো, এগুলা আজীবন গোনার টাইম তোমার থাকতে পারে, দুনিয়ার অন্য কারো নাই। সো, ইগো এর মুখোশ ছাড়ো। একজন বিনয়ী, নম্র, ভদ্র মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো। লাইফ অনেক সহজ ও মজার হয়ে উঠবে। .
৬. অজুহাত (কমপ্লেইন) একটা কথা আছে– Don’t be the problem. Be the solution. সো, এই জিনিস কাজ হচ্ছে না। ওই ভাবে করলে হবে না। সে কেন আমার দিকে তাকালো না? তার নাক ব্যাঁকা কেন? রাস্তার পাশে বৃক্ষ কেন? বৃক্ষের গোড়ায় শিকড় কেন? শিকড়গুলা চিকন কেন? এমন শত শত কমপ্লেইন করে খুব বেশি চেইঞ্জ করতে পারবে না। বরং তোমার নিজের ভিতরেই অশান্তি বাড়বে। তাই সমস্যার সাইডে না দাঁড়িয়ে, সমাধানের সাইডে চলে যাও। আচ্ছা, এইভাবে কাজ হচ্ছে না। তাহলে আমি এইভাবে ঘুরিয়ে দিলাম। এই ঘরটা সবসময় কেন ময়লা থাকে– আচ্ছা আমি পরিষ্কার করে দিলাম। ও এইখানে সবসময় ক্যাচাল করে। আচ্ছা, সেই সময় আমি ঐখানে গেলাম না। .
৭. রাগ(মেজাজ খারাপ) রাগ দেখানো বা মেজাজ খারাপ করা বোকা মানুষের কাজ। রেগে যাওয়ার মানে হচ্ছে, তোমার চিন্তা করার এবিলিটি ফ্রিজ করে দেয়া। সবচেয়ে বিচক্ষণ ব্যক্তি রেগে গিয়ে সবচেয়ে স্মার্ট চাল চালে না। বরং মাথা কুল রেখেই আসল গুটির দান দেয়। সো, তুমি মাথা গরম করে, দশ মিনিট চিল্লা চিল্লি করে সাময়িক এটেনশন পেতে পারো। মাগার শেষ দান খেলবে মাথা ঠান্ডাওয়ালা ব্যক্তিটাই। সেজন্যইতো কথায় বলে– রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
৮. ভয়(কনফিউশন) কোন কিছুতে ভয়, সংশয় বা কনফিউশন থাকার মানে হচ্ছে তুমি রেডি না। কনফিডেন্ট না। পরীক্ষায় পাশ করবে কি, করবে না। সেটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ হচ্ছে তুমি সঠিক পরিমাণ প্রিপারেশন নাও নাই। পাশ করার পর চাকরি পাবে, নাকি পাবে না সেটা নিয়ে কনফিউশনের কারণ হচ্ছে– তুমি স্কিল, ইন্টারভিউ প্রিপারেশেন, ক্লাসের পড়া, ইংরেজি দক্ষতার পিছনে পর্যাপ্ত এফোর্ট দাও নাই। এখন কনফিউশনের চাদর দিয়ে ল্যাকিংস গর্ত ঢাকার চেষ্টা করতেছো। তাই ভয় যত বেশি পাবে প্রিপারেশন নেয়ার পরিমাণ তত বাড়িয়ে দিবে। দেখবে ভয় উল্টা পথে পালিয়েছে। .
৯. মন খারাপ (ভাল্লাগে না) ও কেন চলে গেছে? আমার কোন জিনিসে কমতি ছিলো? বা আমার সাথেই বা এমন কেন হলো। এইগুলার উত্তর হচ্ছে– তুমি একটা গাধা। এজন্যই সে চলে গেছে। কারণ যে গাধাকে তিনমাস ধরে ইগনোর করছে। এর মধ্যে দুইবার ব্লক মারছে। তারপরেও সে বুঝে নাই। আর এখন যখন ডাইরেক্ট “না” বলে দিয়ে চলে গেছে। তাতেও সে ভুলতে পারতেছে না। প্যানপ্যান করেই যাচ্ছে। তাই তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। গেট ওভার ইট। ডু সামথিং নিউ। জীবন পিছনে ফিরে তাকানোর জন্য না। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
১০. প্রোকাস্টিনেশন(ঢিলামি) মনে রাখবে, ঢিলামি করার সহজ উপায় হচ্ছে রুটিন বানানো, প্ল্যান সেট করা, নোটপত্র জোগাড় করার নামে আরো এক সপ্তাহ সময় নষ্ট করা। সো, প্লানের নামে প্রোকাস্টিনেশন করতে যেও না। হুদাই টাইম নষ্ট করো না। তোমার যদি সত্যিই কাজটা করার ইচ্ছা থাকে। তাহলে আজকে করো। দরকার হলে পুরা কাজটার মধ্যে আজকে যতটুকু করতে পারবে ততটুকু করো। তারপরেও আজকেই শুরু করো।
তাহলে নিচের ফরমটি পুরন করুন, আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবো, ইংশাআল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ০১৭১৬ ৯৮৮ ৯৫৩ / ০১৯১২ ৯৬৬ ৪৪৮ এই নাম্বারে কল করতে পারেন, অথবা ইমেল করতে পারেন hi@mahbubosmane.com এই ইমেলে, আমরা আপনাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব, ধন্যবাদ ।
কিভাবে ভালো একজন ওয়েব ডেভেলাপার হবেন? How To Become A Web Developer? একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তি…
দশটি ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া! ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে, অনেক…
How to Rank a Keyword without Spending Money - কিভাবে একটি ওয়েবসাইট যেকোনো কিওয়ার্ডে Rank…
Confusing Words in English - ইংরেজির 420 টি কনফিউজিং শব্দ শিখুন। English is a…
Personality Development Tips - ব্যক্তিত্ব গঠনের উপায় কী? কখনো অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে…
পার্টনারশিপ বিজনেস কিভাবে করবেন? - How to do Partnership Business? বিজনেস পার্টনার নেয়ার…