Digital Courses

Free Digital Marketing Course – ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স!

ফ্রিতে ৬ মাসে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন যেই ভাবে – Free Digital Marketing Course

একদিন আমার কলেজের শেষের দিকের ফল সেমিস্টারের শুরুতে আমি বুঝতে পারলাম অনেকটা আকস্মিক ভাবেই যে আমার মধ্যে সব চেয়ে মূল্যবান দক্ষতাগুলোর কিছু কমতি রয়েই যাচ্ছে । যদিও সে সময় ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ব্যপারে আমি কিছুই জানতাম না ।

যেভাবে আমি শুরু করেছিলাম আমার কাজ গুলো এবং তা থেকে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে আমি বুঝলাম যে আমি আসলে মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না (অবশ্য অনেক কিছু জানিও সেই সাথে) সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম গ্রাজুয়েশনের আগেই আমাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

তারপরের কয়েক মাস আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পর্কে সব কিছু জানতে সময় কাটাতে থাকলাম । তিনমাসের মধ্যে আমি একটি লোকাল কোম্পানির কিছু কাজ পেয়ে গেলাম ।

চার মাসে আমি আরেকটি কোম্পানির  কনটেন্ট টিমে ইন্টার্ন শিপ শুরু করলাম। আমার ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শুরুর দিন থেকে মাত্র নয় মাস পর একটি বড় কোম্পানি  আমাকে ডেকে নিল তাদের ব্লগ লেখার জন্য এবং লিড মার্কেটিং করার জন্য ।

আমি কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে অল্প বিস্তর জানলাম এইভাবে কিন্তু আমি ৯০% এর বেশি শিখেছি ঐ মাস গুলিতে। এটা অনেকটা জ্ঞান অর্জনের ঝটিকা সফরের মত ধরা দিয়েছিল যা কিনা উৎপত্তি হয়েছিল আমার তীব্র জানার আকাঙ্ক্ষা থেকে যার ফলে আমি পরবর্তী দু বছর কাজ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কিছু পরামর্শ

অনেক পাঠক, ছাত্রছাত্রী এবং আরও অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে কিভাবে তারা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। কারণ এইটা এমন একটা অনলাইন জায়গা যা ভুল স্পামী তথ্য এবং অগুনিত ই-বুকে বিধ্বস্ত এবং খুবই কঠিন এইটা বুঝতে পারা যে কোথা থেকে শুরু করা যায় এবং কি শেখা যায় তা খুঁজে পাওয়া।

আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ব্যপারে এই লেখায় একটা ফরমেট তৈরি করে, সবার সাথে এইখানে শেয়ার করতে চাইছি যাতে বাকিরাও অনুপ্রেরণা পায় এবং তাদের সুবিধা হয় বুঝতে ।

এইটা এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনারা একেবারে সস্তায় এবং নিজস্ব প্রোজেক্ট দ্বারা ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন । আমি এইটা আশা করতে বলবো না যে এই গেইম প্লান আপনারা করে নিজেদের একেবারে জিরো থেকে ডিজিটাল মার্কেটারের শীর্ষস্থানে যাবেন তা তখনই সম্ভব যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি পরিশ্রম করবেন এবং বিভ্রান্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সঃ পর্যায়ক্রমিক ধাপসমূহ

প্রথম ধাপ: আপনার প্রাথমিক লক্ষ্য খুঁজে নিন (দশ মিনিটে)

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? বলতে বোঝায় যে,আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সকল মানুষ বা ভিজিটর পেতে এবং তাদের পুনরায় ফিরে পেতে যে যে কৌশলগত কাজ গুলো অনুসরণ করেন সেইসব কিছু। আমরা এটাকে তিন টা ভাগে বিভক্ত করতে পারি যেমন :

>>> প্রথম: অর্জন

>>> দ্বিতীয় : স্থায়িত্ব

>>> তৃতীয় : পরিবর্তন

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপানার মধ্যে এই তিন ধরনের গুনের যেকোনো একটি অবশ্যই থাকতে হবে। একজন সাধারণ ভালমানের ডিজিটাল মার্কেটার হতে গেলে আপনাকে এই কৌশলগত দিকগুলির যেকোনো একটি তো অবশ্যই মেনে নিতে হবেই অনেকটা ফানেলের মধ্যে থেকে ছেঁকে নেওয়ার মত।

যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শুরু করবেন তখন একজন সাধারণ জ্ঞানপিপাসু এর মত নিজেকে পরিনত করে নিবেন। আপনি আসলেই জানেন না কিছু যে আপনি কি জানতে চাইছেন এবং কিসে আপনার সবচাইতে বেশি আকর্ষণ।

সুতরাং সাধারণ একটা ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল গত সমন্বয় আপনাকে সাহায্য করতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। আপনি যখন বিভিন্ন বিষয়ে বিশদ ভাবে জানবেন তখন আপনাকে কাজের জন্য ডেকে নেওয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে বেশি,  কারণ একজন যে ইন্সট্রগ্রামে কিভাবে বিজ্ঞাপন দিতে হয়  জানে আপনি তার থেকে বেশি কাজ জানেন ।

সেই বিষয় গুলি আসলে কি কি হতে পারে তা আমরা খুঁজে বের করে একটি ক্যাটাগরি করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম । কিছু কিছু লক্ষ্য অবশ্য একটা আরেকটার সাথে মিলে যায় কিন্তু তারপরও বিভিন্ন পর্যায়ে এই গুলো খুবই উপকারী।

প্রথম:- অর্জনের মধ্যে যা যা থাকতে হবে –

  • >>সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • >>সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • >>বিজ্ঞাপন
  • >>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
  • >>এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • >>ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং
  • >>ভাইরাল মার্কেটিং
  • >>পাবলিসিটি
  • >>কমুনিটিস
  • >>অন্যান্য প্লাটফর্ম

দ্বিতীয়:- স্থায়িত্বের মধ্যে যা যা থাকবে –

  • >>ই-মেইল মার্কেটিং
  • >>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
  • >>কমুনিটি বিল্ডিং
  • >>নোটিফিকেশন
  • >>রিটার্গেটিং

তৃতীয়: পরিবর্তন এর মধ্যে যা যা থাকতে হবে তা হল –

  • >>কপিরাইটিং
  • >>ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইনিং
  • >>সেইলস
  • >>ইমেইল মার্কেটিং
  • >.রিটার্গেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শুরু করার ক্ষেত্রে যেকোনো একটা ক্যাটাগরি থেকে যেকোনো দুইটা বা একটা এরিয়া সিলেক্ট করে নিন ফোকাস করার জন্য। সাধারণত যেকোনো একটা স্টাক আপনি দেখতে পারেন যা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ারের জন্য অতি প্রয়োজন হতে পারে।

NAT stack এর মধ্যে আছেঃ-

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • অন্যান্য কমুনিটিস
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন

Ads বা বিজ্ঞাপন stack এর মধ্যে যা পরে:-

  • সার্চ/সোশ্যাল অ্যাড
  • রিটার্গেটিং
  • ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন

কমুনিটি stack এর মধ্যে রয়েছে:-

  • অন্যান্য কমুনিটিস
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • কমুনিটি বিল্ডিং
  • ইমেইল মার্কেটিং

পিরামিড পরিকল্পনাঃ

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন

সিনডিকেটর

  • অন্যান্য প্লাটফর্ম
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন
  • যে stackই আপনি বেছে নিন না কেন সবকিছুর উপর পরিপূর্ণতা পাবে যখন আপনি কপিরাইট কিছুটা জানবেন তখন।যদি আপনি কপি রাইটিং না শিখেন তাহলে আপনার অন্য সব অংশ এর দক্ষতা অর্জন বাধাগ্রস্থ হবে।
  • কিন্তু আপনি যদি কপিরাইটিং টা শিখে নেন তাহলে আপনার দক্ষতা আর দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে কার্যকারী মাধ্যমরূপে।
  • সুতরাং বেছে নিন যে stack ফোকাস করতে চাইছেন এবং আপনি যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেন তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপ গুলি দেখে নিন এবং বুঝে যাবেন কোন stackআপনার জন্য সব চাইতে কার্যকর হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: আপনার স্যান্ডবক্স তৈরি করুন (এক থেকে সাত দিনের)

আপনার একটি জায়গা প্রয়োজন যেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটিং অনুশীলন করবেন-এইটাই শিখার একমাত্র পথ। বেশিরভাগ মানুষই দেখা যায় বই পুস্তক আর ব্লগ পড়তে ব্যস্ত হয়ে পরে কোনো রকম বাস্তবিক অনুশীলন ছাড়াই তাতে ফল পাওয়া যায় শূন্য। কিছুই তারা শিখতে পারেন না বা বুঝতে পারেন না। তাদের মত হওয়ার কোনোই প্রয়োজন নাই !

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর সব চাইতে ভাল দিক বা পথ হল অনুশীলন করার সুযোগ, তা হলে আপনি যা যা রিসার্চ করেছেন তার সবকিছুই মিলিয়ে একটি স্যান্ড বক্স তৈরি করতে পারবেন। একটি জায়গা তৈরি করুন যেখানে আপনি সব শিক্ষা কাজে লাগাতে পারবেন । স্যান্ড বক্সের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো জেনে নেওয়া দরকার যা নিচে দেওয়া হল:

১) কম মূল্যে অথবা ফ্রি (একটি হোস্টিং নিতে পারেন আপনার শুরুর জন্য)

২) কম মূল্যে একটা stack নেওয়া যাতে আপনার লস হওয়ার ভয় না থাকে

৩) পাবলিক যাতে করে আপনি আপনার কাজের একটা ফিডব্যাক পান তাদের কাছ থেকে

যার ফলে আপনি সব কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার একটা বিশাল স্বাধীনতা পাবেন আবার সব কিছু এলোমেলো হয়ে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং একি সাথে আপনি যে কোনো ভাবেই কাজ করতে পারবেন এবং ফিডব্যাকটাও পাবেন ।

আপনার স্যান্ড বক্সে যা থাকবে এরপর আপনি আরো কিছু বিষয় যুক্ত করতে পারবেন । সব চেয়ে সহজ যেটা সেই টা হল ব্লগ লেখা শুরু করে দেওয়া। এই ভাবেই এই সাইট টা শুরু হয়েছিল-একটি স্যান্ড বক্স কনটেন্ট মার্কেটিং শিখার জন্য এবং সেইটা এক্সিডেন্টলি আমার একটা নিয়মিত চাকরি তে পরিনত হয়ে গেছে ।

একটা ব্লগ সাইট হল সব চাইতে উপযুক্ত জায়গা যেখানে আপনি সব রকম কৌশল অবলম্বন করে; কম খরচে নিজের লেখার মান উন্নত করতে পারেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতেও পারেন।

লক্ষণীয় বিষয়

আপনি যদি একটা ব্লগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যে কোনও মার্কেটিং ব্লগ দয়াকরে শুরু করবেন না। ইন্টারনেট অকাজের মার্কেটিং ব্লগের আবর্জনা স্থুপে পরিণত হচ্ছে নিত্য-নতুন মার্কেটারদের আবির্ভাবে।

শুরু টা এইজন্যই মার্কেটিং ব্লগ নিয়ে করতে নিষেধ করা হচ্ছে যেহেতু আপনি এই সম্পর্কে একেবারে-ই নতুন এবং কিছুই জানা নাই আপনার কিভাবে আপনি ট্রাফিক পাবেন।

বরং আপনি এমন কিছু নিয়ে লিখুন যা নিয়ে লিখতে আপনি পছন্দ করেন। যেকোনো ধরনের শখ বা হবি যা আপনি অনেক ভাল পারেন বা জানেন যেমন সাইকোলোজি হতে পারে বা ইতিহাসও হতে পারে অথবা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও লিখতে পারেন।

অথবা কৌতুক বিষয়ক কিছু নিয়েও লেখা যেতে পারে মোট কথা এমন কিছু যা নিয়ে আপনি নিজেই অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন এবং একটু বেশি জানার অভিজ্ঞতাও আছে।

অবশ্যই আপনার স্যান্ড বক্সে যদি কোনো ব্লগ লেখার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি কোনো লাইফ স্টাইলের সাথে জড়িত কোনো ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন অথবা কোনো লোকাল কাজ থেকে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন যাতে তারা আপনাকে কাজ করতে সুযোগ দেয়। আমি আপনাকে মোটেও পরামর্শ দিব না যে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে বড়-সড় কিছু শুরু করেন যদিও সেখানে শেখার অনেক কিছু বাকি আছে।

সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

যদি আপনি লাইফ স্টাইলের সাথে জড়িত কিছু দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার স্যান্ড বক্সে MVP তৈরি করে নিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব । আমরা কিন্তু কিছু দিন আগেই মার্কেটারদের ল্যান্ডিং পেইজ নিয়ে প্রোগ্রামিং তৈরি করে দিয়ে ছিলাম। এইভাবেই আপনি আপনার স্যান্ড বক্স কে প্রাথমিক ভাবে সাজাতে পারেন।

যখন আপনি আপনার স্যান্ড বক্স সাজিয়ে ফেলবেন তখন কিন্তু আপনি যেগুলি আপনি প্রয়োগ করতে চান সে stack গুলিও গুছিয়ে নিতে পারবেন। যদি আমি Wiki কৌশলে লেখা কোনও আর্টিকেলের কথা বলি তাহলে এইটা আপনার উন্নতির জন্য বেশি সহযোগিতা করবে, আর আপনি আগে যদি সোশ্যাল মিডিয়া বেছে নেন তাহলে যেকোনো একটি সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিন যেটাতে আপনি সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করতে পারবেন ।

বিজ্ঞাপনের জন্য যেকোনো একটা মাধ্যম বেছে নিন হতে পারেন ( Google অথবা Facebook) এবং তাতেই ফোকাস করুন বা মনোযোগ দিন।

আপনি পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেল বৃদ্ধি করতে পারেন কিন্তু আপনি প্রথমে যদি সব চেষ্টা করতে যান তাহলে নিজেকে ধ্বংস করবেন ছাড়া আর কিছু করবেন না।

একটি সতর্কবাণী 

কারো বাজেট ফান্ডিং ছাড়াই যদি আপনি বিজ্ঞাপন দিতে শিখতে যান তাহলে তা আপনার জন্য যেমন কষ্টকর হবে তেমন ব্যয়বহুলও হবে।

অবশ্যই বলব না যে শুরুতেই আপনার নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে একটা বিজ্ঞাপন দিতে চেষ্টা করবেন যদি না আপনার অনেক টাকা থেকে থাকে অথবা অন্য কেউ ফান্ড দিয়ে সহায়তা করে। প্রথমে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ফ্রি একুজিশন চ্যানেল গুলিই নিয়ে কাজ চালাতে।

তৃতীয়ধাপ: প্রাথমিক অনুশীলন (দুই সপ্তাহে )

এই পয়েন্ট এসে আপনি আপনার স্যান্ড বক্সে কিছু পাবেন এবং কিছু চ্যানেলের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন যাতে শিখতে পারেন কিভাবে ট্রাফিক পাওয়া যায়,তাদেরকে কিভাবে ধরে রাখা যায় এবং কিভাবে আরো তাদের পাওয়া যায় এইসব কিছুই।

এইবার আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর মাধ্যমে যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করা বা যাকে বলা যায় ইমপ্লিমেন্ট করা তা করতে পারেন। শুরুর দিকে ফ্রি কিছু কাজ করে প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন ।

এইটা আপনার বড়জোর একটা বিকাল সময় নিবে শেষ করতে আর যখন আপনি শেষ করবেন তখন আপনি যা পাবেন তা হল:

১) একটি কার্য-প্রণালী যা আপনার অনুশীলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিবে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পথটিও বলে দিবে

২) সব গুলো এরিয়া নিয়ে একটা উচ্চ ধারনা দিতে সক্ষম হবে

৩) উদাহরণ এবং আইডিয়া দিবে সামনে কি ভাবে তা এক্সপেরিমেন্ট করবেন সেটার জন্য

যদিও আমরা তাদের পদ্ধতি টিকে কিছুটা পরিবর্তন বা মডিফাই করেছি । Bullseye ফ্রেমওয়ার্ক একটি খুবই অসাধারণ একটি টুল যা নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের জন্য নির্দিষ্ট চ্যানেল খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এইটা চলতি এক্সপেরিমেন্ট করতেও সাহায্য করবে ঐ নির্দিষ্ট চ্যানেলের জন্য। এখন থেকে আপনি আপনার stack এর উপরেই ফোকাস করতে চাইবেন। সুতরাং ঐ সকল কৌশল অবলম্বন করে আপনি Bullseye ফ্রেমওয়ার্কটি কাজে লাগাতে পারেন এমন কিছু এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য।

উদাহরণ :

আপনি একটি একুজিশন কৌশল হিসাবে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করতে  চান। আপনাকে সেই সব কিছুই রিসার্চ করতে হবে যাতে আপনার ইন্সটাগ্রাম চালাতে পারেন এবং ঐখান থেকে ট্রাফিক টেনে আনলেন এবং এই হিসাব একটা স্প্রেড শিটে করে ফেলুন এবং আরেকটি আইডিয়া কাজে লাগানো শুরু করুন।

তারপর ঐ তিনটা যা সবচাইতে ভাল সুযোগ এনে দিতে পারবে তাদের জন্য এক অথবা দুই সপ্তাহের জন্য একটি ছোট্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন যা কম ব্যয়বহুল । সব শেষে তা আবার চেক করুন এবং দেখুন আপনি আপনার লক্ষ্যমাত্রায় কতটুকু পৌছাতে পেরেছেন।

এইটা শুধুমাত্র আপনার প্রাথমিক টেস্ট এবং এরপর থেকে আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন প্রথম একুজিশন চ্যানেলে ফোকাস করা বা মনোযোগ দেওয়া।

আপনি পরিবর্তন বা কনভারশন কে ত্বরান্বিত করতে পারবেন তবে তা পরে করলেও হবে। একটি সাধারণ ইমেইল কে আপনার স্যান্ড বক্সে জায়গা দিন এবং ঐ ভাবেই আপনার ট্রাফিক পাওয়ার কাজ শুরু করুন।

আপনি হয়তো এই প্রাথমিক পর্যায়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না সুতরাং আমি পরামর্শ দিবো কারো কাজকে অনুসরণ করেন । আপনি কখনওই তাদের মত হতে চেষ্টা করবেন না যেহেতু আপনি এখনও নতুন। তবে কাউকে অনুসরণ করলে তা আপনার জন্য বেশি উপকারী হবে।

একুজিশন চ্যানেল সম্পর্কে জানতে এইখানে কিছু বেস্ট রেসিপি দেওয়া হল:

যে কোনো একটা আপনি বেছে নিন এবং অনুসরণ করুন এবং আপনার স্প্রেড শিটে রেকর্ড করতে থাকুন প্রতিটার এক্সপেরিমেন্ট। ঠিক আছে এইবার এই পয়েন্টে এসে আপনার যা যা লাগবে তা হল:

১) একটা নির্দিষ্ট এরিয়া বেছে নিন যেটাতে প্রাথমিক ভাবে ফোকাস করবেন

২) একটি শিখার জন্য স্যান্ড বক্স তৈরি করুন

৩) Traction গুলি পড়ুন

৪) আপনার মার্কেটিং এক্সপেরিমেন্ট স্প্রেড শিট তৈরি করুন

৫) আপনার প্রথম কিছু এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে দিন

আপনি কি এইসব কিছু শুরু করে দিয়েছেন? এইটা জরুরি আপনি শুরু করতে চাইলে কারণ যদি তা না করেন তাহলে আপনি এক টন সময় শুধু শুধু ব্যয় করতে যাচ্ছেন পরবর্তী ধাপে। ইনফোমেনিয়া এবং কৃত্রিম জটিল তার বেড়া-জালে যারা আটকে পড়েন তারা ভাল ডিজিটাল মার্কেটিং করতেই পারেন না পিছিয়ে পড়েন অনেকেই ।

চতুর্থ ধাপ: রিসার্চ এবং শিক্ষিত হওয়া (দুই মাস থেকে সারা জীবন)

এখন আসলে আপনি নতুন পর্যায়ে পৌছে গিয়েছেন সেই সাথে কিছু প্রাথমিক এক্সপেরিমেন্ট করতেও সক্ষম হয়েছেন এখন সময় হল আর কি কি আপনি এক্সপেরিমেন্ট এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারেন তা জানার। এইখানে একটা মাত্র লক্ষ্য-মাত্রা আছে আর তা হল আপনি মার্কেটিং এর যা বুঝেছেন তাকে আরো বৃদ্ধি করা যাতে আরো ভাল কিছু করতে পারেন এবং আবার আপনি তা প্রয়োগ করতে পারেন দেখার জন্য কোনটা বেশি ভাল হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করে এই স্টেজে আপনার যে কাজ গুলো থাকবে তা হল:

১) কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে দেওয়া (সাধারণত-এক দুই সপ্তাহ)

২) যদি এক্সপেরিমেন্ট টা সফল হয় তাহলে এটা কেই একটা পদ্ধতি তে ফেলে কার্যকরী করে তুলুন

৩) যদি একটা কাজ না করে তাহলে আরেকটা নিয়ে চেষ্টা করুন

তৃতীয় ধাপে আবার সেই রিসার্চে ফিরে যেতে হবে। প্রতিটা এরিয়াতেই আপনাকে ইম্প্রুভ করতে হবে এবং বার বার আপনাকে এক্সপেরিমেন্ট খুঁজতে হবে প্রয়োগ করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ভাল কিছু না পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত।

ঐ এক্সপেরিমেন্ট খুঁজতে কেস স্টাডিগুলি পড়ুন। গাইড অথবা বই-পত্র পড়ে কোনও লাভ হবে না আপনাকে কেস স্টাডি গুলোই বেশি সাহায্য করবে যা অনেক বেশি তথ্য বহুল। আপনি যদি অন্যরা কি করেছেন তা দেখেন তাহলে নিজেও সেই গুলো এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ।

আপনি এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইছেন নতুন নতুন আইডিয়ার, এইটা যদি নির্ধারণ করেন তাহলে প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা রিসার্চ এবং পড়াশোনা করুন। এই সময় টা মার্কেটিংয়ের উপর ব্লগ পড়ুন এবং নতুন আইডিয়া খুজে লিখে রাখুন। টেস্ট করুন যাতে আপনি আপনার স্যান্ড বক্স চালাতে পারেন । একই সাথে আপনার দক্ষতা আরো একধাপ বাড়াতে পারেন।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে খুব বেশি ব্লগ কিন্তু নাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর। যা আছে বেশির ভাগ-ই স্পামি এবং নতুন মোড়কে পুরাতন সাজিয়ে রাখা আরকি। কিন্তু তারপরও কিছু আসল লিস্ট আছে যেগুলো আপনি পড়ে উপকৃত হবেন। নিচে তা দেওয়া হল:

কিছু ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগ

আপনি এর সাথে কিছু বই পড়তে পারেন যা আপনাকে সাহায্য করবে। একটি ভাল কিছু লেখার জন্য সেই সাথে মানুষের সাইকোলোজি বুঝতে পারবেন। সেই সাথে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনও করতে পারবেন। এইখানে কিছু লিস্ট দেওয়া হল যা থেকে আপনি শুরু করতে পারবেন :

কিছু ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং বই

তবে অবশ্যই আপনাকে পড়াশোনা এবং রিসার্চের পিছনে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। তাই বলে এমন যেন না হয় এর পিছনে সময় দিতে গিয়ে আপনি এক্সপেরিমেন্ট এবং পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে সময় দিচ্ছেন না।

অনেক এক্সপেরিমেন্ট আছে যেগুলো বার বার করতে হবে এবং ধৈর্য ধারন করতে হবে। এইটা করে আসল ফল পেতে একটু সময় লাগবেই যা বিরক্তিকরও লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি শিখতে চান আপনাকে তাহলে অবশ্যই এই বিরক্তিকর অনুভূতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে । আপনাকে আপনার প্ল্যানে লেগে থাকতে হবে। ধীরে ধীরে আপনি যখন এইসব দক্ষতা অর্জন করবেন তখন এইটা আপনাকে ফ্রি ল্যান্সিং করতে অনেক সাহায্য করবে।

পঞ্চম ধাপ: ফ্রিল্যান্সিং

এইটা খুব যে প্রয়োজন তা কিন্তু নয় । তবে কিছু সময় ফ্রি ল্যান্সিং করে কাটালে আপনার দক্ষতাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে ধীরে ধীরে।

যখন আপনি অন্য একজনকে বা একটি কম্পানি কে সাহায্য করতে যাবেন তখন আপনি তাই করুন যা আপনি নিজে থেকে শিখেছেন। এইটা আপনাকে দেখিয়ে দিবে যে আসলে আপনি কোন বিষয়গুলি ঠিকমত জানেননা। যা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে।

সেই সাথে আপনি ফ্রি ল্যান্সিং করতে গিয়ে যদি এমন কাউকে পেয়ে যান যে কিনা আপনার থেকে দক্ষ । তাহলে অবশ্যই তার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনাকে কোথায় আরো ভাল করতে হবে। যা আপনি একা একা করতে পারতেন না।

এইটা আমার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে যে আমি আমার প্রথম কনটেন্টের ফিডব্যাক পেয়েছিলাম তা আসলে কেমন। ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র সেই-পথ যেটা আপনি করতে পারেন । তবে অবশ্যই আপনি যদি একটি ভাল কম্পানি বা অভিজ্ঞ কাউকে খুঁজে পান তবেই তা সম্ভব।

এইধরনের কাজ গুলো আপনি পেতে পারেন Upwork এবং Fiverr এর মত মার্কেট প্লেসে ।

 

ষষ্ঠ ধাপ: এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যান এবং সম্প্রসারিত করতে থাকুন

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর মৌলিক বিষয়গুলি বা বেসিক সাইকেল আমরা সব শিখে নিয়েছি একদম আনকোরা থেকে অভিজ্ঞ হওয়া পর্যন্ত । এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে, আপনার অনুমান কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যেতে হবে এবং নতুন এক্সপেরিমেন্টের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনি যদি এইভাবে শিখতে থাকেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে থাকেন এবং পরিশ্রম করেন । আর পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন অলসতা না করেন । তাহলে আপনি খুব সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত জব পেয়ে যাবেন কোন কম্পানিতে। অথবা নিজের প্রোডাক্ট বাজার-জাত করতে পারবেন এক বছরের বা তার কম সময়ে।

এবং আপনি কি ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর মাধ্যমে আরো নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে চান ! সেইসাথে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার নিয়ে অনভিজ্ঞ থেকে অভিজ্ঞ একজনে রূপান্তরিত হতে চান ! আরও বেশি ভেবে চিন্তে ডিজিটাল মার্কেটিং অনুশীলন করতে চান ! তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকুন ।

Post Credit: www.bsocialtoday.net

ফ্রিতে করতে পারেন এই ৫টি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স!

 

Google Digital Garage

গুগলের নাম শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে, গুগলের ডিজিটাল গ্যারেজের নাম হয়তো আজকে প্রথম শুনছেন। গুগল ডিজিটাল গ্যারেজের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। এটা একটি ফ্রি ট্রেনিং সেবা। তাদের নিকট থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ মানুষ ফ্রি ট্রেনিং নিয়েছে। তাহলে আপনি বাদ যাবেন কেন!

গুগলের ডিজিটাল গ্যারেজে ২৫টির মত কোর্স আছে, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। আর এই ২৫টি কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি। তাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর ফান্ডামেন্টাল কোর্সটি করলে, আপনি ফ্রি সার্টিফিকেট পাবেন। গুগলের এই কোর্সগুলো করলে আপনি যা যা জানবেন।

  • ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মৌলিক জ্ঞান।
  • অনলাইন বিজনেস করার উপায়।
  • বেশি বেশি কাস্টমার পাওয়ার উপায়।
  • অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয়ার সঠিক উপায়।
  • অন্যান্য দেশে আপনার ব্যবসা কিভাবে সম্প্রসারণ করবেন।
  • কাস্টমারদের চাহিদা এবং বিজনেস কন্টেন্ট তৈরির পদ্ধতি।
  • মেশিন লার্নিং, কোডিং ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।

 

Skillshare Digital Marketing

 

Skillshare হল অনলাইন কোর্সের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। শুধু মাত্র ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর এদের ওয়েবসাইটে ৩০টির মত কোর্স রয়েছে। সবগুলো কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রিতে করা যাবে। প্রত্যেকটি কোর্স ভিডিও ভিত্তিক অনলাইন কোর্স। তাদের কোর্সে যা যা জানতে পারবেন।

  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  • মার্কেটিং টিপস এবং ট্রিকস।
  • মার্কেটিং কন্টেন্ট তৈরি।
  • গুগল অ্যাডস।
  • ইমেল মার্কেটিং।
  • লিড জেনারেশন।
  • অনলাইনে মার্কেটিং কৌশল।
  • ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং প্রমোশন।
  • ভিডিও মার্কেটিং।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

 

Hubspot Digital Marketing

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Hubspot। এটা একটি সফটওয়্যার কোম্পানি। কিন্তু তারপরেও এরা অনলাইন কোর্স করার সুবিধা দিচ্ছে। অনলাইনের এই ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সটি নিচ্ছেন জাস্টিন চেম্পন। জাস্টিন চেম্পনের রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দুনিয়ায় ৮ বছরের অভিজ্ঞতা।

সুতরাং, এই কোর্সটি যে আপনার জন্য কত বড় আশীর্বাদ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্পূর্ণ কোর্সটি ফ্রিতে করা যাবে। কোর্সটি ভিডিও ভিত্তিক কোর্স। এই কোর্সটি করে আপনি যা জানবেন।

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং।
  • কন্টেন্ট তৈরির কৌশল।
  • কন্টেন্ট আইডিয়া তৈরি।
  • ব্লগ কন্টেন্ট তৈরির কৌশল।
  • ভিডিও মার্কেটিং।
  • কন্টেন্ট প্রমোট।

এই কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করে, ১টি ১ঘন্টার পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে আপনি একটি সার্টিফিকেট পাবেন।

 

Hootsuite Digital Marketing

৬ ঘণ্টা ব্যাপী এই কোর্সটি, যারা ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ায় নতুন তাদের জন্য। কোর্সটি ৬টি ভাগে বিভক্ত। এই কোর্স করলে অবশ্য আপনি কোন সার্টিফিকেট পাবেন না। তবে, তাদের একটি অপশনাল কোর্স আছে, সেটা করলে তারা আপনাকে সার্টিফিকেট প্রদান করবে। কিন্তু এই অপশনাল কোর্সটির জন্য, আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।

যাই হোক ফ্রি কোর্স, আপনার ডিজিটাল মাকেটিংয়ের জ্ঞান পূর্ণ করার জন্য যথেষ্ট। এই কোর্স করলে আপনি যা যা জানবেন।

  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের পরিচিতি।
  • স্যোশাল মিডিয়ার প্রোফাইল অপটিমাইজ।
  • স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন কৌশল।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ভিত্তি।
  • স্যোশাল বিজ্ঞাপন।

 

E-Marketing Institute

E Marketing Institute এর ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সটি একটু ভিন্ন রকমের। এই কোর্সটি মূলত যারা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে অপছন্দ করেন, তাদের জন্য। এই কোর্সটিতে আপনাকে একটি ই-বুক দেয়া হবে। ই-বুকে পেজের সংখ্যা ১৫৫টি। ই-বুকটি পড়া শেষ হলে তাদের ওয়েবসাইটে একটি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে মোট ৫০টি।

পরীক্ষায় ৫০% নাম্বার পেলে, আপনাকে উত্তীর্ণ ধরা হবে এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। পরীক্ষার প্রশ্ন খুব সহজ। তবে, পরীক্ষাটি অবশ্যই ধৈর্য সহকারে দিতে হবে।

 

এই ছিল সেরা ৫টি ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স নিয়ে আলোচনা। এখানের প্রতিটি কোর্স একটি থেকে আরেকটি আলাদা। যেহেতু প্রতিটি কোর্স ফ্রি, তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল, সময় নিয়ে সবগুলো কোর্স করে ফেলা। এর ফলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জ্ঞান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

Post Credit: www.bsocialtoday.net

এখনো কোন প্রশ্ন আছে? অথবা আমাদের সাথে কথা বলতে চান?

তাহলে নিচের ফরমটি পুরন করুন, আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবো, ইংশাআল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ০১৭১৬ ৯৮৮ ৯৫৩ / ০১৯১২ ৯৬৬ ৪৪৮ এই নাম্বারে কল করতে পারেন, অথবা ইমেল করতে পারেন hi@mahbubosmane.com এই ইমেলে, আমরা আপনাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব, ধন্যবাদ ।

    মাহবুবওসমানী.কম এর সার্ভিস সমূহঃ

     

     

    Mahbub Osmane

    Hi, my name is Mahbub Osmane; a 30-year-old, Digital Marketing Consultant, Entrepreneur & Public Speaker. I’m the Founder of BytecodeSoft. Last 10 years I have been working as a Digital Marketer & SEO consultant where I worked for over 200 businesses and ranked them higher and boost their sales funnel. Visit www.mahbubosmane.com/about to know more.

    Recent Posts

    কিভাবে ভালো একজন ওয়েব ডেভেলাপার হবেন?  How To Become A Web Developer?

    কিভাবে ভালো একজন ওয়েব ডেভেলাপার হবেন?  How To Become A Web Developer? একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তি…

    12 months ago

    ৫০ হাজার টাকার মধ্যে বাংলাদেশে যেই যেই ব্যবসা দেওয়া যেতে পারে তার একটি তালিকা – Business in Bangladesh with Small Capital

    দশটি ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া! ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে, অনেক…

    1 year ago

    How to Rank a Keyword without Spending Money – কিভাবে একটি ওয়েবসাইট যেকোনো কিওয়ার্ডে Rank করানো যায়?

    How to Rank a Keyword without Spending Money - কিভাবে একটি ওয়েবসাইট যেকোনো কিওয়ার্ডে Rank…

    1 year ago

    Top 420 Commonly Confusing Words in English

    Confusing Words in English - ইংরেজির 420 টি কনফিউজিং শব্দ শিখুন।   English is a…

    1 year ago

    Personality Development Tips

    Personality Development Tips - ব্যক্তিত্ব গঠনের উপায় কী?   কখনো অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে…

    2 years ago

    পার্টনারশিপ বিজনেস কিভাবে করবেন? – How to do Partnership Business?

      পার্টনারশিপ বিজনেস কিভাবে করবেন? - How to do Partnership Business?   বিজনেস পার্টনার নেয়ার…

    2 years ago