ফেসবুক তাদের পলিসি ভঙ্গ করলে অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগ করে দেয়। পলিসির মধ্যে অনেক কিছুই আছে। কিছু বিষয় আছে বুঝা দূর্বোধ্য। আপনি সরাসরি বুঝতে পারবেন না। আবার অনেক সময় ঠিক কি কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি ফ্ল্যাগ করা হয়েছে সেটা যেমন তারা স্পষ্টভাবে জানাবে না তেমনি ভাবে আপনিও বুঝতে পারবেন না। এমনও আছে আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্টটি ১৫ দিন হল ব্যবহার করা হচ্ছে না, হঠাৎ করেই দেখলেন আপনার অ্যাকাউন্ট টি ফ্ল্যাগ করা হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ফেসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগ করে দেয়। আমার অভিজ্ঞতা, কেস স্টাডি, ফেসবুকের পলিসি এবং বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে কারণগুলো খুঁজে বের করা হয়েছে। এবার আসুন আমরা জেনে নিই সেইসব ইস্যু গুলো কি কি।
১। সন্দেহজনক পেমেন্ট মেথড বার বার ব্যবহারের চেষ্টা করলে।
২। ফেসবুক যদি মনে করে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে তা হলে।
৩। অ্যাড অ্যাকাউন্টটি অস্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করলে।
৪। নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেই অ্যাড দিলে।
৫। বিভিন্ন ক্যাম্পপেইন এর জন্য অনেক বেশী অ্যাড অননুমোদিত হলে।
৬। খুব কম সময়ের মধ্যে ২ বা ততোধিক অ্যাড অ্যাকাউন্ট থেকে কোন একটি পেজের অ্যাড দিলে।
৭। একাধিক স্থান থেকে অ্যাড প্রকাশ করা হলে যেখান থেকে সচরাচর অ্যাড অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়না।
৮। অবৈধভাবে ফেসবুক অ্যাড কুপন ব্যবহারের চেষ্টা করলে।
১। সামাজিক, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এই ধরনের অ্যাড।
২। অবৈধ পণ্য ও সেবা। যেমন রেপ্লিকা বা নকল পণ্যের অ্যাড দিলে।
৩। বৈষম্যমূলক আচরণ। অ্যাড এর ভেতর বৈষম্যমূলক কোন কথা লেখা থাকলে বা ছবি প্রকাশ করলে। যেমনঃ সুনির্দিষ্টভাবে কোন দল, সম্প্রদায় কে হেয় করলে, কাউকে হয়রানি করলে, সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে অ্যাড এর প্রতি সাড়া না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে।
৪। সিগারেট এবং বিড়ির অ্যাড।
৫। মাদকদ্রব্য এবং এতদ সংক্রান্ত অ্যাড।
৬। অনিরাপদ সাপ্লিমেন্টস। যেমন দ্রুত বৃদ্ধির জন্য হরমোন। মোটা তাজাকরন ট্যাবলেট।
৭। আগ্নিয় অস্ত্র, গোলা বারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য।
৮। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস অথবা কন্টেন্ট।
৯। তৃতীয় পক্ষের কোন কন্টেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করলে যেখানে কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, গোপনীয়তার ইস্যু গুলো থাকে এবং প্রচারের অধিকার খর্ব করে।
১০। দুঃখজনক, হিংসাত্মক এবং বিদ্বেষমূলক অ্যাড।
১১। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, বিশ্বাস, লিঙ্গ, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে কাউকে কটাক্ষ করা।
১২। মিথ্যা আশ্বাস দেয়া অথবা ভুয়া কোন অফার প্রদান করা।
১৩। রাজনৈতিক এবং সামাজিক কোন ইস্যু বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা।
১৪। এমন কোন ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করা যা ঠিকমতো কাজ করে না। খুব ধীর গতিতে লোড হয়। নিম্ন মানের পণ্য ও সেবার অফার দেয়। অন্য জায়গায় ফরওয়ার্ড হয়, যা অ্যাড এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়।
১৫। মোবাইল ফোন ট্রাকার, স্পাই ক্যামেরা এবং গোপনে নজরদারী করে এমন যন্ত্রপাতির অ্যাড।
১৬। ভুল বানান, গ্রামার, উচ্চারণ, সঙ্কেত, নম্বর, অক্ষর ইত্যাদি ব্যবহার করলে।
১৭। এমন কোন বাটন ব্যবহার করা যার কোন অস্তিত্বই নেই।
১৮। পূর্বের এবং বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন ছবি প্রকাশ করে অ্যাড দিলে।
১৯। এম, এল, এম মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর অ্যাড দিলে।
২০। ভুয়া ডকুমেন্টস প্রদান এর অ্যাড যেমন – ইমিগ্রেশন, সার্টিফিকেট, ভিসা ইত্যাদি।
২১। ফ্ল্যাশ এনিমেশন ও অডিও যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়।
২২। এমন কোন স্ট্রিমিং ডিভাইস এর অ্যাড যা অননুমোদিত ভাবে অরিজিনাল মিডিয়াতে প্রবেশ করে।
২৩। নিষিদ্ধ আর্থিক পণ্য ও সেবার অ্যাড। যেমন – ঘরে বসেই আয় করুন।
১। এ্যালকোহল এর অ্যাড। যা প্রচলিত আইন এবং নিয়ম মেনে দেয়া যাবে।
২। অনুমতি নিয়ে অনলাইন ডেটিং এর অ্যাড।
৩। অনলাইনে জুয়াখেলা, রিয়েল মানি গেম, অনলাইন লটারি, ক্যাসিনো ইত্যাদির অ্যাড অনুমতি নিয়ে দেয়া যাবে।
৪। সরকার অনুমোদিত আঞ্চলিক লটারির অ্যাড অনুমতি নিয়ে দেয়া যাবে।
৫। অনলাইন ফার্মেসি অ্যাড এর জন্য অনুমোদন লাগবে।
৬। গ্রহনযোগ্য ডায়েটেরী পণ্য, হারবাল সাপ্লিমেন্টস অ্যাড এর জন্য টার্গেটেট আডিয়েন্স এর বয়স নুন্যতম ১৮ বছর হতে হবে।
৫। ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন, আর্থিক সার্ভিসসহ আক্রিডিটেট ইন্সটিটিউশনের কর্মকান্ড এবং নিয়ম কানুন পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
৬। অনুমতি ছাড়া ব্রান্ডেড পণ্যের অ্যাড দেয়া যাবে না। আমরা অনেকেই ব্রান্ডেড পণ্যের ব্যাপারে ভুল বুঝি। এটা জনপ্রিয় কোন ব্রান্ডের এর ব্যাপার না। এই ক্ষেত্রে ব্রান্ডেড প্রোডাক্ট বলতে ৩য় পক্ষের প্রোডাক্ট গুলোর কথা বলা হয়েছে। যে প্রোডাক্ট গুলোতে আপনার মালিকানাসত্ব বা অংশীদারিত্ব নেই।
৭। রাজনৈতিক এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অ্যাড দেয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন কানুন মেনে চলতে হবে এবং ফেসবুক থেকে অনুমতি নিতে হবে।
৮। ফেসবুক এর অনুমতি ব্যতিত ক্রিপ্টো কারেন্সি এবং এতদ সংক্রান্ত অ্যাড দেয়া যাবে না।
একটা মানুষের মৃত্যু যেমন একটা পরিবারের অনেক ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসে তেমনি ভাবে একটা অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগ হলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হই। চলমান সব অ্যাড এর ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতি হয় আমদের ব্যবসার। তাই যে কোন অ্যাড দেবার সময় আমাদেরকে অনেক ভেবে চিন্তে সেটা দেয়া উচিত। (ই-ক্যাব গ্রুপ হতে সংগৃহীত পোস্ট)
তাহলে নিচের ফরমটি পুরন করুন, আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবো, ইংশাআল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ০১৭১৬ ৯৮৮ ৯৫৩ / ০১৯১২ ৯৬৬ ৪৪৮ এই নাম্বারে কল করতে পারেন, অথবা ইমেল করতে পারেন hi@mahbubosmane.com এই ইমেলে, আমরা আপনাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব, ধন্যবাদ ।
অথরাইজড ক্যাপিটাল বনাম পেইড-আপ ক্যাপিটাল — পার্থক্য, গুরুত্ব ও বাংলাদেশ-সৌদি আরবের নিয়ম Authorized Capital…
⚠️ ডেলিভারি ভিসার ফাঁদ: সৌদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের না বলা বাস্তবতা Delivery Visa Trap সৌদি…
GDS (Global Distribution System) কী? কেন শেখা গুরুত্বপূর্ণ? বর্তমান বিশ্বে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত গতিতে…
সৌদি আরবে দক্ষ কর্মীর জন্য তাকামুল সার্টিফিকেট (Takamul certificate) : কী, কেন এবং কম খরচে…
আপনার ব্যবসায় কি আরও দ্রুত গ্রোথ চান? আপনি কি এমন একটা সময়ের স্বপ্ন দেখছেন, যখন…